Showing posts with label বিরহ. Show all posts
Showing posts with label বিরহ. Show all posts

চৈত্র বিড়াল

বারবার ফিরে আসে
চৈত্র!
সেই পাতা ঝড়া
প্রকৃতি
স্তব্ধ দুপুর
পুরো পাড়া ঘুমিয়ে
অথবা
ঘুমের ভান করে।
মাঝে মাঝে
কাক-চড়াইয়ের কোলাহল
তাদের থামাতে বিড়ালের আগমণ।

সময়টা চৈত্র,
একটি বিড়াল
মাঝ দুপুরে
প্রায়ই আসতো;
পা টিপে টিপে
বারান্দা গ্রীলের
কপাট খুলে
ধরতে যেতাম তাকে।
তারপর অবাক দৃষ্টিতে
চোখে চোখ;
কি অবুঝ পাপাচার
ক্ষণিকের স্বর্গসুখ।

সবাই জানতো
গিয়েছিলাম বিড়াল তাড়াতে
কিন্তু
সেতো বিড়াল নয়
প্রেয়সী।
চৈত্রের দুপুরে
জ্বলে পুড়ে
ঝড়ছে পাতা
জ্বলছে চোখ
পিপাসায় জিহবা
তবু
তোমার জন্য, কত না
প্রতীক্ষা।

সে সময় গেছে কখন
বারে বারে ফিরে আসে
চৈত্র।
কিন্তু তুমি
কোন দূর দেশে।

চন্দ্রকথা ২

ও চাঁদ, মায়াবী
তোর মায়ায় পৃথিবী উতাল
লেগেছে জোয়ার সাগর নদীই
কেমন মাতাল উপকূল কূল।

আজ রাত বড়ই মায়াবী
হু হু করে বইছে শীতল বাতাস
যেন কত কালের মৌসুমী

প্রশ্নবোধক রেখা

সেদিনে পর আরো দিন এসেছে
আরো আসছে
কত রাত গিয়েছে
তারপর
ভোর এসেছে,
বেলা গড়িয়ে দুপুর, গোধূলী, সন্ধ্যা, রাত
আরো আসছে।

তবু কিছু কিন্তু থেকে যায়
কিন্তু ক্যানো, ক্যানো, ক্যানো থেকে যায়
কে দেবে উত্তর?
কিভাবে দেবে!
এ প্রশ্ন রাখিনি তো কারো কাছে
নিজের কাছে নিজেই আমি
প্রশ্নবোধক রেখা।

আকাশের চাঁদ -

বলিনি তোমায় কখনো,
আকাশের চাঁদ এনে দেবো;
হিমালয়ের চূড়া থেকে
এনে দেবো ফুল
বলিনি তোমায় কখনো.....

আসলে এসব আমি পারবো না।

যদি চাও দিতে পারি
নিজের কাজ ফেলে অনেকটা সময়
কিংবা
বই কিনে দিতে.....
সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে তোমার বাসার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে
যেমন বল তুমি,

অফিস ফাঁকি দিয়ে শপিং এ
তারপর পানিশমেন্ট মেনে নিতে....

যদি চাও দিতে পারি
মাথা ব্যাথা হলে ম্যাসাজ করে দিতে
কিংবা প্যারাসিমল এনে দিতে....
যখন তুমি চাও
তোমার ফোনে কল দিতে
কিংবা
রিচার্জ করতে....

যা পারি তাই করি
যা পারি না তা বলবো কেন....
এই মিথ্যাটা না বলাই হলো বুঝি কাল।
মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে অনেক স্বপ্ন বুনলে তুমি
তারপর অনেক দূর.....

ভালো থেকো।

চন্দ্রকথা ১

ও চাঁদ,
শুনেছি, তোমাতে নাকি হাওয়া নাই;

তাই কি তুমি আমার বুকে এসে
করেছ আমায় হাওয়াহীন;

আজ এখানে স্বপ্ন উড়ে না
নতুন আশা জন্মায় না
কবিতারা অমসৃন।


ক্রিয়েটিভ কমনস লাইসেন্স

This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NoDerivs 3.0 Unported License.

ঝরা পাতা দিন

তোমার বাগীচায় অনেক পাতা বাহার
জানি আমি তার ভিতরে একটি;
আর সবার মত আমিই
কিন্তু আমার কাছে ক্যানো এত আসো?


ক্যানো ডাকো?
আমার চাতক মন
কখন যে অজান্তে তোমাকেই চেয়েছিলো মনে নেই।


আমার ছায়ায় তোমার কায়া
কয়েকটি রাতে জোৎস্নার পথে
ঘামের সিক্তায় প্রশান্তি
তুমি ছিলে তাই,
বৃষ্টির ধাওয়ায় লোকাল বাসে
পাশাপাশি দুজনে।


বুঝিনি এত সহজেই
আমার পাতার রং তোমার অপ্রিয় হয়ে উঠবে
ঝরা পাতার দিন শুরুর আগেই
তুমি ঝরিয়ে দিলে আমায়,
কবিতাগুলোকে মাঝরাতে
গলা টিপে হত্যা করলে
কি দারুন অহমে
বেছে নিলে আরেকটা পাতা বাহার।


জীবনের প্রথম অধ্যায়ে
তুমিই দিয়েছো স্বপ্ন
আবার
ভেঙেছো তুমিই।

অভিনেতা

অভিনেতা হতে চাইনি কখনো
তবু আজ আমি অভিনেতা।
একের পর এক করে যাচ্ছি অভিনয়
জীবনের নাট্যমঞ্চে।।

নিজের সাথে নিজেই খেলছি
আর মজা নিচ্ছ সবাই
আমার হাসিতে তোমরা হাসছ
ভাবছ, আমি নিখাদ মানুষ না
নইলে, নিশ্চয় এতক্ষণ ভেঙে যেতাম।।

আমি যে নক্ষত্রের মত জ্বলছি
তোমরা দেখছ কি সুন্দর শোভা
আমি সূর্যের মত দহিতাচ্ছি
তোমরা নিচ্ছ উত্তাপ
ইভাল্যুয়েশন রাউন্ডে শ্রেষ্টর অভিনেতার মধ্যে গিয়েও
পুরস্কার না পাওয়া;
অন্যের হাতে দিচ্ছি তুলে হেসে হেসে
কত উদার আমি।।
হা হা হা,
ভাবছ, আমি নিখাদ মানুষ না
নইলে, নিশ্চয় এতক্ষণ ভেঙে যেতাম।।

অহর্নিশ ভালোবেসে একজন

আমি তোমাকে বলিনি
আকাশের চাঁদ এনে দেবো,
কিংবা তোমার জন্য মরতে পারি;

কিন্তু আমিতো করে দেখিয়েছি
তুমি যখন যা বলেছ তাই করেছি, তাই দিয়েছি
তবু তুমি বুঝলে না।
শুধু যে বলল, তার কথাই বিশ্বাস করে নিলে
একবারো পরখ না করে।
আর আমার কত পরীক্ষা নিয়েছ
মনে আছে?

তখন বলেছিলে প্রতিদান দেবে
কিন্তু আজ বলো_ _
আমি কিছুই করিনি
হা হা হা!!!!

আমি বলছি না আমাকে ভালোবাসতেই হবে
তুমি যদি আমার মাঝে সুখ খুঁজে না পাও
যাও তার কাছে।

জানি না আবার কিসের শংকায়
ফিরে আসতে চাও
এতই যদি তাকে ভালো লাগে
তবে কেনো আবার এ রকম কথা বল?
জীবনান্দও ফিরতে চেয়েছিলো এই বাংলায়
পারে নি।
তুমি কি পারবে?
বাস্তবতা কি এতই সহজ?

কবিতা আর বাস্তবতার মধ্যে
মনে হয় এটাই ফারাক
তুমি হাওয়া হয়ে লাগতে পারো আমার গায়ে
ইচ্ছে হলেই তোমার হাতের আংটি, চুরী, লোম হওয়া যায়
কিন্তু বাস্তবতায় অনেক অনেক দূরে।

আফসোসের লু হাওয়া

তারপর,
মরুভূমির বুকে
বৃষ্টি নামল
তুমি ভোরের শিশিরের বিন্দুর মত
এলে আমার লাল গোলাপের বাগিচায়
আমি পরম মমতায় একের পর এক
বাগানের সব গোলাপ নিয়ে দিলাম
তোমায়।

যখন যেটা চেয়েছো
কখনো কলি, কখনো প্রষ্ফুটিত
আবার কখনো পাপড়ি বা সুগন্ধী মালা।

এরপর,
তুমি চাইলে কালো গোলাপ
আমি খুঁজতে থাকলাম চারা
কিন্তু তোমার তাড়া
আর আমার
সময়ের হাতছানি।

একটু অপেক্ষা করতে হবে
সামনের শীত পর্যন্ত;
কিন্তু না, তোমার সময় নেই
দাঁড়াতে পারবে না।

ঠিক আছে, আমি বাঁধা দেব না
তবে সময় হলে একটু বস।
আমার যা ছিল সবইতো দিয়েছি
যা চেয়েছো বা যা চাওনি (সাধ্যের ভিতর)।
তবু কেনো তুমি বোঝনা।

বুঝি, অপেক্ষার প্রহর শুধু
আমার জন্যই
উফ!

স্নায়বিক চাপ

স্বপ্ন দেখলে কি ভাঙ্গতে হবেই
আমি তো চায় না ভাঙতে
তবু আমার হাতের উপরই
বারংবার হয় টুকরো টুকরো।।

মনে হয় এটাই নিয়ম
স্বপ্ন শুধু আশার জন্ম দেয়
তারপর আবার আঁধার
মোম যেমন আলো ছড়ায়
তারপর গলে অন্ধকার।।

জানি, আমি মশালের মত জ্বলব
নিজে নিজে
আর সেই আলোতে
আলোকিত হবে চারপাশ,
সময় শেষে পড়ে রইব নিথর
দেখবে না কেউ।।

কিউপিডের তীরের মত বিরক্তি
শুধু বিদ্ধতে থাকবে
আর আমি অবাক কাষ্ঠের গুড়ির
মত সহ্য করে যাব।।

অচলার অভিমান
বুকের ভিতর ভিসুভিয়াসের আগ্নেয়গিরির মত জ্বলবে
আর গ্রাস করবে হৃদপিন্ড, পাজর, কলিজা;
সোনালী লাভার বন্যায় আমি ডুবে যাব
আর তুমি সোনালী আলোয় পথ চলবে।

নীল কাক

আকাশের সব নীল
আমি নিয়েছি চুষে,
দেখো, আকাশে আর বেদনা নেই
সাদা মেঘ ফুরফুর করে উড়ছে মনের আনন্দে।

একবার তুমি বলেছিলে
নীল রয়ের শাড়ি পরে যাবে সমুদ্র বিলাসে
ক্যানো বলেছিলে বুঝিনি তখন
হয়ত আমার নীলবর্ণ দিয়েই রাঙাতে।

ওগো, শুভ্র মেঘের পরী;
তুমি থাকো সুখের দেশে
যত দুঃখ-যন্ত্রনা থাক আমার বন্দরে।

তোমার পৃথিবী আজ
মেঘহীন সাদা আকাশের মত স্নিগ্ধ
সেখানে দাড়িয়ে
আমার পৃথিবী দেখে মনে করতে পারো
বিষাক্ত সাপের নীল নদ;
অনুমান যদিও মিছে নয়
তবে যেন এ শুধু তোমারি কারণে।

অবশ্য তুমি কারণগুলো খুজে পাবে না
কিংবা পেলেও প্রকাশ করবে না।

মনে আছে?
বলেছিলে, "ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না"
কিন্তু আমিতো কখনো ভাতের আশায় কাকা করিনি
শুধু চেয়েছিলাম একটু আদর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে
আজ ঝড় তুফানে কোন সম্ভাবনা নেই
নেই বৃষ্টি বা ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেতের শংকা


তবে আমার পৃথিবী কেন এত অশান্ত
অবিরাম বৃষ্টি আর জলোচ্ছাসের ঢেউয়ে
ভাঙছে স্বপ্ন একটি একটি করে
আমার মনের এ খবর জানাবে কোন দপ্তর
জানো কি কেউ? জানো কি তুমি?


সকালের সোনালী আলোর মত শুধু খোঁজ মসৃন ভবিষ্যত
শিশির বিন্দুর মত শুধু খোজ সুখ
পরিনামে যে জ্বলে আরেক হৃদয়
জানো কি তুমি?


আমার এ বৃষ্টিপাত দেখবে না কেউ
বুঝবে না তুমি
শুধু আমি স্নাত হব অজস্রবার
সবার আড়ালে।

খড়কুটো

আমি তো জানি আমি খড় কুটো;
আগুনে জলি, ছাউনি হয়ে দেই ছায়া,
বাতাসে উড়ি, নদীতে ভাসি।

যখন তুমি চাও জ্বালাও আগুন
আমি পুড়ে মেটাই খোড়াক।

যখন চাও ছাউনি হয়ে
তোমার ঘরে দেই ছায়া
রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে আমি মরব
তবু তোমায় আগলাবো।

যখন তুমি চাও উড়াও মনের সুখে
আমি বাতাসে নাচি
আর লুটে পড়ি তোমার পায়ের নিচে।

খড়কুটো হয়ে যখন ভেসে যাই
নদ থেকে নদী বা নদী থেকে কুল
তুমি পিপিলিকা'র মত আমায় জড়িয়ে
ওঠো কূলে
তারপর চলে যাও শহরের সবচেয়ে উঁচু অট্টালিকায়
অথবা তোমার বিশাল লিনেপ্যাথিমা সম্রাজ্যে।
তারপরে কি মনে রাখো আমায়?

মনে পড়ে

চাঁদ জাগা এই রাতে
ঘুমহারা নীরব ক্ষনে
শুধুই মনে পড়ে তোমাকে।।

চাদের আলোতে স্মৃতিরা
বেড়ায় উড়ে মনের এথায়
হারানো প্রেম অশ্রু হয়ে
ঝরে শুধু দু’চোক বেয়ে।।

মনে পড়ে পুরোনো প্রেম
তোমার আমার কত কথা
মনের সবুজ অরণ্য আহা অরণ্য
হয়ে আজ ধূসর জমিন।।

তুমি আমার নও

তুমি যে আমার নও
সে কথা হারায় যখন,
মনের অজান্তে তোমায় নিয়ে
বেড়ায় কত স্বপ্নরাজ্যে;
চৈতনেরা হঠাত নাড়া দিয়ে বলে
তুমি আমার নও
কিযে ব্যাথায় ভরে তখনি এ বুক
তুমি তা বুঝবে কি করে।।

কি যে মায়াবী স্বপ্ন একেঁছিলে তুমি আমার এ চোখে
ভুলতে পারিনি আজও তার কোনোটুকু
তুমিতো ছিলে সাময়িক কোনো স্বপ্নপরী
বুঝিনি আমি আগে বুঝিনি।

কিযে ব্যাথা দিয়ে তুমি
শূন্য করেছ আমায়
যেন সাগরের বুকে একাকী অসহায় এক নাবিক
মৃত্যুর নেশা যার চোখে
অমৃতের আশা ছেড়েছে সেই কবে।।

ভালোবাসা নেই

ভালোবাসা নেই
অবশেষে তুমি
সব স্বপ্ন ভেঙে
বলেছ আমায়
ভালোবাসা নেই
আমার জন্য,
হৃদয়ে জমানো
ব্যাথাগুলো
কেনো করে শুধু
বারে বারে আঘাত;
যেই তুমি নিজ আবেগে
স্মৃষ্টি করেছিলে প্রেম
আজ সেই তুমি
কেনো ভেঙে দিলে?

ভালোবাসি তোমায় আজো
কেনো জানিনা
তুমি কেনো আমাকে শুধু কাঁদাও
বোঝনা তুমি এ হৃদয় ভাঙার
কি যে ব্যাথা।।

আমি খুজেছি তোমায় -ফজলে রেজওয়ান করিম

আমি খুজেছি তোমায়
অবারিত সবুজের প্রান্তরে
আমি খুজেছি তোমায়
শহরের ইট কাঠের প্রস্তরে ।।
আমি খুজেছি তোমায়
আকাশের অন্ত নীলের মাঝে
আমি খুজেছি তোমায়
মহাকাশের বায়ুমন্ডলেতে।


হারানোর ব্যাথায় রিক্ত হৃদয়
খোজে কেন বল- তোমায় অন্ধ মোহে ??
ভেঙ্গেছি আমি এ হৃদয়
আমার তোমারই মায়ার মাঝে ।।


এখন এখানে নষ্ট কবিতা পোড়ে
তোমারই বিহনে দুঃখ গীতি কাদে ।।
আমি পারিনা মেনে নিতে
এ আমায় তুমিহীনা ।।

অসমাপ্ত - ফজলে রেজওয়ান করিম

একটি একটি করে অনেকটা দিন গিয়েছে কেটে
একটু একটু করে অনেকটা বছর গিয়েছে চলে
বেড়েছে ব্যবধান তোমাতে আমাতে
মনের নয় সে দৃষ্টি সীমার ।।
আর কি হবে দেখা
আর কি হবে কথা…….


স্মৃতি সে নয়তো ভোলার
আছে যা শুধু বেদনার
আধারের পথে একা
তোমারই হাসির চোরাবালিতে
ডুবে যাই অনন্তকাল ।।


বেহুলার পথে হারা
আমি এক নিঃস্ব পথিক,
আলেয়ার স্বপ্ন ঘোরে
ডুবে যায় অনন্তকাল ।।