দেয়ালে ঘাস ফড়িং

গ্রাম থেকে নগর
জনপদ থেকে শহর
সবুজ থেকে ধূসর
মূর্খ থেকে সভ্য ।


অরন্য আমায় কি দিয়েছে!
শুধু বিশুদ্ধ অক্সিজেন ছাড়া,
সেবার বাঘের তাড়া খেয়ে
লাফিয়ে পড়েছিলাম জলে
প্রান বাচাবার জন্য
কিন্তু সেখানেও ভয়
কাটা কাটা লেজওয়ালা কুমির,
আর গুহাতে সাপের
ফোস ফোস আস্ফালন ।


তাই একবিঘা জঙ্গল সাফ করে
মাটির ঘর তুলি
নিরাপত্তার আশায়,
আর একবিঘা জঙ্গল সাফ করে
ফসল লাগাই
অন্নের অন্বেষায়।
কারা যেন মাটি পুড়িয়ে ইট বানায়
মুনেছি বর্ষার প্রবল বর্ষনে
নাকি ধসে পড়ে না;
একবার ফসল বেচে
ইটের দালান তুলি।


এগুলো ছিল আমার
দাদার মুখে শোনা
তার বাপ দাদাদের কাহীনি।


আজ বিশুদ্ধ অক্সিজেনের অভাবে
বুকটা চাপ ধরে আসে,
পোড়া ডিজেলের গন্ধে
শ্বাসকষ্ট যায় বেড়ে।
আবার খুজে ফিরি সবুজের শ্যামলতা
রাখালের বাশীর সুর;
আচ্ছা রাখাল কি বাঘের ভয়ে
বাশী বাজাতো?
যেন মানুষ বুঝতে পারে
বাশী থামলেই বাঘ এসেছে।


বাগানবাড়ীর পিছনের সেই শিয়ালগুলো
আজ আর আসে না মুরগী ধরতে
খামার নেই জঙ্গল নেই
বেড়া নেই আছে দেয়াল
রুদ্ধপথ।


রুদ্ধ পথ,
কার?
প্রকৃতির না আমার?

0 comments:

Post a Comment